১৯ মে ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
চায়ের কেটলি চুরির অভিযোগে ছোট্ট বালকের ওপর চালানো হল অমানবিক নির্যাতন। বারবার ক্ষমা চেয়েও চুরি করিনি বলেও মাফ পেল না সে, তার জিহ্বা ছোঁয়ানো হল উত্তপ্ত কুড়ালে। ভয়াবহ এই ঘটনায় নিষ্ঠুরতা শব্দটি যেন একটি নতুন অর্থ খুঁজে পেল।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। অমানবিক এই নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম তেহসিব। এক গরিব রাখালবালক সে। গবাদিপশুকে পথ চিনিয়ে বাড়ি আনা আর দেখভাল করাই তার কাজ।
ওই বালককে প্রথমে চায়ের কেটলি চুরির অভিযোগ করে পেটাতে থাকে অভিযুক্তরা। ছোট্ট তেহসিব বারবার তার নিরপরাধ হওয়ার কথা বললেও তার কোন কথাই শোনা হয়নি।
পরে একসময় তাকে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে নাবালককে জিহ্বা দিয়ে উতপ্ত কুড়াল চেটে দেখাতে বলে তারা। এর পর জোরপূর্বক নাবালককে দিয়ে তা করালে গরম কুড়ালে তার জিহ্বা মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা ডন জানিয়েছে, রাখাল বালকের ওপর এমন অমানবিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগে অনুসন্ধানে ছিল পুলিশ। পরে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ফাজলা খাচে পাকিস্তানের বর্ডার মিলিটারি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তেহসিবের বাবা জান মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, তার নির্যাতিত ছেলেকে তেহসিল সদর দপ্তরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের পুলিশ জানিয়েছে, তিন অভিযুক্তসহ ওই নাবালক সবাই পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত বালোচের বাসিন্দা। তিন অভিযুক্তদের নাম—সিরাজ, আব্দুল করিম ও মোহাম্মদ খান।
ডনের খবর অনুযায়ী, বালোচে এখনও উপজাতিদের মধ্যে কিছু কিছু কট্টরপন্থা চালু আছে। যেখানে অপরাধীকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দিতে হয়। এমনকি পানিতে মাথা ডুবিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকতে না পারলে দোষী বলে চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। রাখাল বালক তেহসিবকে এমনই এক ভয়ঙ্কর ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দিতে হলো।